সমুদ্রের জল কর্দমাক্ত। তাই স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহান্তে দিঘা বেড়াতে এসে সমুদ্রস্নান করা হল পর্যটকদের। স্থানীয়রা বলছেন, বেশ কয়েকবছর পর সমুদ্রের জল এরকম কর্দমাক্ত হল।
করোনার বিধিনিষেধ শিথির হতে সৈকতশহর দিঘায় ভিড় করেছেন প্রচুর পর্যটক। সমুদ্রস্নানের প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার সৈকতে আসেন তাঁরা। কিন্তু জলের রং দেখে স্নান করতে নামেননি অনেকে। যাঁরা নেমেছেন তাঁরা উঠেছেন কাদা মেখে।
স্থানীয়রা বলছেন, সাম্প্রতিককালে সমুদ্রের জল এতটা কর্দমাক্ত হতে দেখেননি তাঁরা। কেন এমনটা হল তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মৎস্যজীবীরাও।
তবে উদ্বেগের কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, দিঘা ভাগিরথী ও সুবর্ণরেখার মোহনার মাঝামাঝি অবস্থিত। গত কয়েকসপ্তাহের বৃষ্টিতেই ২টি নদী এখন ফুঁসছে। তার ওপরে দামোদরের বিস্তীর্ণ বন্যাকবলিত এলাকা থেকে জল নামছে। তার সঙ্গে সমুদ্রে এসে পড়ছে প্রচুর পলি। সমুদ্রের লবনাক্ত জলের দ্রাব্যতা কম হওয়ায় দ্রুত সেই পলি অধঃক্ষিপ্ত হচ্ছে। তার ফলে কর্দমাক্ত হয়ে উঠছে সৈকত। এই পলি পর্যটকদের সমুদ্র উপভোগে বাধা সৃষ্টি করলেও ম্যানগ্রোোভের জন্য বিশেষ উপাদেয়।
ভাগিরথীতে জল কমলেই দিঘার সমুদ্র পুরনো চেহারা ফিরে পাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা।