রবিবার জলপাইগুড়িতে কিছুক্ষণের ভয়াবহ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ঘরবাড়ি। উপড়ে গিয়েছে একাধিক গাছ। কারও আবার ঝড়ে উড়ে গিয়েছে ঘরের ছাদ। ঘটনায় কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি আহত বেশ কয়েকজন। লোকসভা ভোটের আবহে প্রকৃতিক দুর্যোগের খবর পেয়ে ফোনে খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জলপাইগুড়ি ছুটে গিয়েছেন। ঠিক সেই সময় জলপাইগুড়ির মিনি টর্নেডো নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি, ঝড়ের তাণ্ডব, একাধিক মৃত্যু, বড় নির্দেশ মমতার
আজ সোমবার সকালে দুর্গাপুরের ক্লাব স্যান্টোস ময়দানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ঝড় তো উত্তরবঙ্গে শুরু হচ্ছে। ভোট ওইদিক থেকেই শুরু হচ্ছে। তাতে বিজেপির ঝড় শুরু হয়েছে। তাতেই সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে।’ আর এরপরেই নিজের মন্তব্যের ড্যামেজ কন্ট্রোল করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এই সময় কালবৈশাখী হয়। উত্তরবঙ্গ কালবৈশাখী এই সময় প্রথম দেখলাম। খুব ভয়ঙ্কর কালবৈশাখী হয়েছে। বহুলোক আহত হয়েছেন, মারাও গিয়েছেন। এবার আবহাওয়া সত্যিই খুব খারাপ। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সরকারের দায়িত্ব হল সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের দলের লোকেরাও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।’
এ নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি তো সরকারের প্রতিনিধি। উনি বলেন যে আমি সরকার চালাচ্ছি। উনি প্যারালাল সরকার চালাচ্ছেন ডায়মন্ড হারবারে। ওঁর উচিত সেখানে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।’ অন্যদিকে, ভোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, যে মুখ্যমন্ত্রী যত বলবেন, তত বিজেপির লাভ হয়। আগের বার বলেছিলেন ৪২টি আসনে ৪২টি জিতবে। সেক্ষেত্রে বিজেপির ২ থেকে ১৮ হয়েছিল। আর এবার তৃণমূলের আসন আরও কমবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়িতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের খরব পেয়েই মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ও আহতদের দেখতে তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের নির্বাচনী সভা সেরে ঝড়ের খবর পেয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বিশেষ বিমান করে জলপাইগুড়িতে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীও ফোনে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।