আরএসএস ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যেই আসবে তাঁকেই দলে নেওয়া যাবে না। এবার রাশ টানার প্রয়োজন আছে। দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে। যাঁকে নেওয়া হবে তাঁর বিষয়ে খোঁজখবর করে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, নতুনদের নিলেও পুরনোদের সম্মান দিতে হবে। এমনকী যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকবে তাঁদের দলে নেওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতির অভিযোগ আছে, এমন নেতাদের দলে নেওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়াল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায়।
বিজেপিতে যোগ দেন চন্দ্রকোনা–১ নম্বর ব্লকের ক্ষীরপাই পুরসভার কাউন্সিলর তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক গৌতম ভট্টাচার্য। চন্দ্রকোনার খেজুরডাঙা মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা একাধিক নেতা–নেত্রী। সেখানে ছিলেন গৌতমও। সভার শেষে শুভেন্দুর হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেন গৌতম। তখন মঞ্চের নীচে থাকা একদল বিজেপি কর্মী সমর্থক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা গৌতমের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন, দাবি তৃণমূল থেকে আসা ওই নেতা ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’। যদিও তাতে গৌতমের বিজেপিতে যোগদান আটকায়নি।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে গিয়েছেন গৌতম। বিজেপি নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, ‘দলে যাঁরা যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের দলের নিয়ম মেনে চলতে হবে। কয়েক জন প্রতিবাদ করেছে বলে শুনেছি।’ ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, দলে যাঁকেই নেওয়া হোক তাঁর ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে নেওয়া হবে। আর কোনও শর্ত দিয়ে কাউকে নেওয়া হবে না। সে প্রাক্তন দলের যত বড়ই নেতা হোক না কেন! সুতরাং দলের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা নেতাদের নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।