একুশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারি বাংলোকেই দরকারি আস্তানা করে তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। অনেকেই পরে তা ত্যাগ করলেও জেলার এক বিজেপি নেতা তা ছাড়েননি। এবার সরকারি বাংলো ছেড়ে দিতে বলল জেলা প্রশাসন। ডিসেম্বর মাসেই ওই বাংলোটি ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু তখনও তিনি তা ছাড়েননি বলে খবর জেলা প্রশাসন সূত্রে। আর এখন তা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর অ্যান্ড্রু প্লেসের এ১১/২ নম্বর বাংলোয় থাকেন দুর্গাপুর পূর্ব আসনের বিজেপি প্রার্থী কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। ২০১৮ সালে বাংলোটিতে তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়। তখন তিনি ছিলেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর ওই পদ তিনি ছেড়ে দেন। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসও ছাড়েন। কিন্তু বাংলো ছাড়েননি। কেন তিনি বাংলোটি ছাড়েননি? এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁকে বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি বলেই অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাস থেকে দীপ্তাংশুবাবুকে ওই বাংলোটি ছেড়ে দিতে বলা হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও তিনি সেখানেই থাকছিলেন। সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা ওই বাংলোয় আসেন। কারণ বিজেপি নেতা কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী এখন যে বাংলোতে থাকেন সেটি দুর্গাপুর ইস্পাত প্রকল্পের নিজস্ব বাংলো হলেও সেটি রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে। তাই বাংলো রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের। প্রশাসনের আধিকারিকরা এদিন ওই বাংলোয় গেলেও কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী বাড়িতে না থাকায় ফিরে আসতে হয়।
যদিও এই বিষয়ে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। নির্বাচনে জেতার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া করছে। এখন এই সিদ্ধান্তও তারা নিয়েছে। কিন্তু ওদের জানা নেই যে বাংলাটি সেল–এর। রাজ্যের নয়। এক্ষেত্রে দিদির কোনও এক্তিয়ার নেই।’