পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ নয়াদিল্লি গেল। কারণ সেখানে এক সাংসদের বাড়িতে গা–ঢাকা দিয়ে আছেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদক। আর তাঁকে ধরতে নয়াদিল্লিতে পৌঁছে গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের দল। এই সাংসদের বাড়িতে গা–ঢাকা দেওয়ার বিষয়টি পুলিশেরই দাবি। তবে শ্যামল আদককে গ্রেফতার করতে দিল্লি পুলিশ কোনও সহযোগিতাই করছে না বলে অভিযোগ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। তাই কী সাহায্য মিলছে না? উঠছে প্রশ্ন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি হলদিয়া পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। আর সেদিনই নয়াদিল্লিতে গা–ঢাকা দেন শ্যামল আদক। সেখানে এক সাংসদের বাংলোয় আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে কোন সাংসদের বাংলোতে শ্যামল আদক আছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার।
আর কী জানা যাচ্ছে? কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী থাকাকালীন নানা দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। তাতে আজকে নিয়ে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সৌমেন্দুকে। তারপর ওই দিনই হলদিয়া পুরসভার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তাই শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। তিনি হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। আর সেখানে নানা দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে। সৌমেন্দুর পর তাঁর ডাক আসতে পারে বুঝতে পেরেই নয়াদিল্লিতে গা–ঢাকা দিয়েছেন।
পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে? জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, শ্যামল আদকের নামে এফআইআর দায়ের করে। তার পর শ্যামল আদকের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। শ্যামল আদকের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের একজন অফিসার এসকর্ট করে শ্যামল আদককে ওই সাংসদের বাংলোতে নিয়ে গিয়েছেন। তাই জেলা পুলিশ অফিসারদের একটি দল নয়াদিল্লিতেই রয়েছে। শ্যামল আদককে গ্রেফতার করে বাংলায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।