মালদায় যখন নবজোয়ার কর্মসূচিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই রায়গঞ্জ থেকে শিলিগুড়ি সহ মালদায় একের পর এক তৃণমূলের নেতার বাড়িতে আয়কর, ইডির হানা। আর সেই মালদা থেকে দাঁড়িয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক। এর আগে তিনি বলতেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে বলতে হবে না ফাঁসির দড়িতে ঝুলে পড়ব।
এবার মালদায় দাঁড়িয়ে সেই অভিষেক বললেন, আগামী দিনে লড়াই খুব কঠিন। তাই যোগ্য প্রার্থী বসাতে হবে। পঞ্চায়েতে ঘর, রাস্তা যে দেবে তাকেই দেখবেন। অনেক ধমকে চমকেও আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি। যত ইডি, সিবিআই দেখাবে তত আন্দোলনের তীব্রতা বাড়বে। একেবারে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক।
এদিকে এর আগে একাধিকবার কয়লা পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি তলব করেছিল। তবে প্রতিবারই কার্যত দেখা করেছেন তিনি। তবে সেখান থেকে বেরিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। এবারও নবজোয়ার কর্মসূচি থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বিরোধীরা তাঁকে নিশানা করে নানা কটাক্ষ করেছেন বার বার। কিন্তু তারপরেও অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই এখনও প্রমাণিত হয়নি বলে অভিযোগ। আর এটাই তৃণমূলের কাছে অন্যতম বড় বিষয়। তবে এই নবজোয়ার আগামীদিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কতটা এগিয়ে দেয় সেটাই দেখার।
এদিকে বৃহস্পতিবারই ইংরেজবাজারে অভিষেকের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, কাল মালদায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন। এটা গর্বের। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যা বলেন তাই করে দেখান। গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা আর তৃণমূল কংগ্রেস বের হবে। যে ভাষা বিজেপি বোঝে তাকে সেই ভাষাতেই কথা বলতে হবে।
সেই সঙ্গেই কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেও তিনি তির ছোঁড়েন। তিনি বলেন, পরের বার বাম বিজেপি কংগ্রেস প্রচারে এলে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসতে বলবেন। বছরের পর বছর কংগ্রেস সাংসদ। একদিন দেখান অধীর চৌধুরী মোদী বা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাংলার টাকা দিতে বলেছেন। এরা আসলে মিথ্যে কথা বলে। জানালেন অভিষেক।