এগরা বিস্ফোরণের পর কেটে গিয়েছে তিনদিন। ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে বিস্ফোরণের মূল চাঁই কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। আর এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে তপ্ত রাজ্য–রাজনীতি। তার মধ্যেই এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে বদলি করা হল। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হল স্বপন গোস্বামীকে। এই ঘটনার পর এগরার আইসি–কে শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় অবশেষে বদলি।
এদিকে এগরা থানার আইসি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মৌসম চক্রবর্তী। এই ঘটনার পর তাঁকে বদলি করে পাঠানো হচ্ছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার ইনস্পেক্টর হিসাবে। এখন এগরা থানার নতুন আইসি’র দায়িত্ব দেওয়া হল স্বপন গোস্বামীকে। তিনি আগেও এই থানায় কাজ করে গিয়েছেন। ফলে একটা অভিজ্ঞতা থাকায় কাজ করতে অসুবিধা হবে না। বিশেষ করে এই ঘটনার তদন্তে তিনি সাহায্য করতে পারবেন। তবে বহুদিন স্বপন গোস্বামী হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় আইসি’র দায়িত্বে ছিলেন। তাই স্বপন গোস্বামীকে আবার একবার নিয়ে আসা হল এই এগরা থানায়।
অন্যদিকে আজ, শুক্রবার ভবানী ভবন থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর সেখানেই জানানো হয়েছে, এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে হুগলি গ্রামীণ সাইবার ক্রাইম থানায় বদলি করা হয়েছে। একইসঙ্গে হুগলি গ্রামীণ থানার আইসি স্বপন গোস্বামীকে পাঠানো হচ্ছে এগরা থানায়। তবে কেন এই বদল? সেটা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা নেই। এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৯ জন মারা যায়। তারপর এমন বদলি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর তাঁরা ওড়িশায় গিয়ে ভানুকে ধরে ফেলে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ভানু একটি গোপন জবানবন্দি দিয়ে মারা গিয়েছে। তারপরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বদলি করা হল এগরার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে। এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ আছে কিনা তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। সিআইডি অফিসাররাও এই নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। বিস্ফোরণের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ওই বাজি কারখানার মালিককে আগেও একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সে জামিন পেয়ে যায়। ওই ব্যক্তি জামিন পাওয়ার পরেও কেমন করে আবার একই কাজ করছিলেন? আইসি–কে শোকজ করে জিজ্ঞেস করতে হবে। কেন ওই ব্যক্তি জামিন পেয়ে আবার একই কাজ করছেন? সেই শোকজ করে কিছু জিজ্ঞাসায় বেরিয়েছিল কিনা জানা যায়নি। তবে বদলি করা হল।