আজ, বুধবার সাতসকালে বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিয়ে ইডি অফিসাররা হাজির হলেন সন্দেশখালিতে। এখানের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেন তাঁরা। এবার ন্যাজাট থানাকে আগাম জানিয়েই এলেন অভিযানে। স্থানীয় পুলিশকে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখিয়ে, সাক্ষী রেখে এবং তালা ভেঙে শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে ঢুকলেন ইডি অফিসাররা। ১৮ দিন পর শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে এল ইডি। প্রথমবার এসে মার খেতে হয়েছিল ইডির অফিসার থেকে জওয়ানদের।
এদিকে সন্দেশখালির গ্রামবাসীরা দেখলেন পিচ রাস্তা থেকে গ্রামের আলপথ সব জায়গাতেই পুলিশের বিশাল বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে গ্রামে পৌঁছেছে রাজ্য পুলিশও। একেবারে টহল শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ভিড় দেখলেই এগিয়ে গিয়ে ভারী কণ্ঠে জানতে চাইছেন, কী আছে এখানে? কীসের জটলা এখানে? তখনই সেই ভিড় হালকা হয়ে যাচ্ছে। এলাকাজুড়ে নজরদারি চলছে। ভারী বুটের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। সাতসকালেই বদলে গিয়েছে সন্দেশখালি। মঙ্গলবার রাতে বসিরহাট থানায় ইমেল করে আজকের অভিযানের কথা জানিয়ে দেয় ইডি। শেখ শাহজাহান এখনও পলাতক।
অন্যদিকে শেখ শাহজাহানকে নাগালে পেতে লুক আউট সার্কুলার জারি করেছে ইডি। তার পরেও গ্রেফতার করা যায়নি শাহজাহানকে। আজ বুধবার সকালে শাহজাহানের বাড়িতে যায় ইডির ১২ জন অফিসারের দল। এদের মধ্যে আছেন ৬ জন ইডি অফিসার, ৩ জন সাক্ষী, এলাকার ২ জন সাক্ষী এবং একজন ভিডিয়োগ্রাফার। গোটা পরিস্থিতি যাতে ক্যামেরাবন্দি করে রাখা যায় তাই এই পদক্ষেপ। ১২৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান শাহজাহানের তিনটি বাড়িই ঘিরে ফেলেছেন। বাইরে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সরেজমিনে দেখভাল
তারপর অফিসাররা একজন তালা খোলার মিস্ত্রি জোগাড় করেন। সেই মিস্ত্রি তালা খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটা খোলা যায়নি। অবশেষে তালা ভেঙেই ঘরে ঢোকেন ইডির অফিসাররা। রাজ্য পুলিশের দাবি মেনে স্থানীয় দু’জন নিরপেক্ষ প্রত্যক্ষদর্শী নিয়ে ভিতরে ঢুকেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু ভিতরে ঢুকে তদন্তকারীরা দেখতে পান পর পর তালা মারা রয়েছে। সেগুলিও ভাঙা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।