সায়গল হোসেনকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে নয়াদিল্লি নিয়ে যাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সায়গল হোসেন ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী। গরু পাচারকারীদের কাঁচা খাতায় তাঁর নাম পেয়েছে ইডি বলে সূত্রের খবর। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজ, শুক্রবার আসানসোলসংশোধনাগার থেকে নয়াদিল্লি ট্রেনে করে নিয়ে যাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বলে সূত্রের খবর।
কখন সায়গলকে নিয়ে যাওয়া হবে? আজ, দুপুর ৩টের সময় সায়গল হোসেনকে বের করা হবে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে। আসানসোল স্টেশন থেকে তাঁকে নিয়ে ট্রেনে তুলবে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েই সায়গল হোসেনকে নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। সায়গলকে ঘিরে থাকবে সিআরপিএফ বলয়। আসানসোল সংশোধনাগারে অনুব্রত মণ্ডলের কাছাকাছি সেলেই ছিলেন সায়গল হোসেন। তবে সায়গলকে নিয়ে গেলে জেলে একাই থাকবেন কেষ্ট মণ্ডল।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? এই সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআই যখন সায়গলকে জেল হেফাজতে পাঠায় তখন তাঁকে ইডি নিজেদের হেফাজতে নেয়। এমনকী একাধিকবার জেরাও করে। এখন সায়গলকে নয়াদিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। তখন নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানেও তাঁদের ধাক্কা খেতে হয়।। তারপর নয়াদিল্লির আদালত থেকে সম্মতি মিলতেই সায়গলকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করা হয়।
কেন নয়াদিল্লি নিয়ে যেতে হচ্ছে সায়গলকে? ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় অনেক তথ্য জানে সাযগল হোসেন। যা বাংলায় থাকলে তিনি বলতে চাইছেন না। তাছাড়া তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন দেখতে পাওয়া যায়। এত টাকার উৎস কী? তা জানাননি সায়গল হোসেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পৃথক মামলা করে ইডি। সেই আদালত ইডিকে জানায়, সায়গলকে নয়াদিল্লি এনে জেরা করা যেতে পারে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে নয়াদিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সায়গল। বৃহস্পতিবার সায়গলের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।