হিন্দুস্তান টাইমসের ন্যাশনাল পলিটিকাল এডিটর সুনেত্রা চৌধুরীকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিজেপি নেতা বলেন যে তিনি একশো শতাংশ নিশ্চিত যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেপি নড্ডার কনভয়ের ওপর আক্রমণের নেপথ্যে আছেন।
প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে কিছু লোক আক্রমণ করে জেপি নড্ডার কনভয়ের ওপর। বুলেট প্রুফ হওয়ায় নড্ডার গাড়িতে কিছু হয়নি, কিন্তু বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় সহ অনেকের গাড়ির কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ভবানীপুরেই জেপি নড্ডাকে কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। তারপরেই বুধবার রাতে তারা খবর পান যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী শওকত মোল্লা ও জাহাঙ্গীর ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে দুই জায়গায় দশ হাজার লোকের জমায়েত করবে। গণ্ডগোলের আশংকা আছে এটা বুঝতে পেরে বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের জানান হয়। কিন্তু তারপরেও কাজের কাজ হয়নি বলেই দাবি বিজেপি নেতার। তিনি বলেন যে পুলিশের উপস্থিতিতেই তাদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন যে এমন ভয়ানক দৃশ্য তিনি জীবনে দেখেননি। তাঁর মনে হচ্ছিল যে এটা ভারত নয় অন্য কোনও দেশে চলে এসেছি। এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়, এতে সারা বিশ্বে বাংলার মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি। এর জন্য বাংলার মানুষ তৃণমূলকে মাফ করবে না বলেও মনে করেন তিনি।
কৈলাস বিজয়বর্গী বলেন যে ১০০ শতাংশ এর পিছনে মমতা ও অভিষেকের হাত আছে। তাঁর দাবির স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করে তিনি বলেন যে বিজেপি বিক্ষোভ করলে সেখানে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, পেলেট গান, জল কামান ব্যবহার করছে। কিন্তু তৃণমূলের লোকেরা যখন পাথরবাজি করল, তখন পুলিশ নীরব দর্শক। এর অর্থ হল যে পুলিশের সমর্থনেই এই কাজ হয়েছে বলে মনে করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।