এবার নদিয়ায় গ্রেফতার ভুয়ো IAS। চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু মানুষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার কল্যাণীর বাসিন্দা এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে কোতয়ালি থানায় যান রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তার পর শান্তিপুরের এক হোটেল থেকে অচিন্ত্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কল্যাণীর বেদিভবনের কাটাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ রায় নামে ওই যুবকের অভিযোগ, নিজেকে IAS আধিকারিক পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে অচিন্ত্য তাঁর কাছ থেকে ২.২৫ লক্ষ টাকা আদায় করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন,'কৃষ্ণনগরের নলুয়া পাড়ার বাসিন্দা অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বছরখানেক আগে ফোনের মাধ্যমে আমার পরিচয় হয়েছিল। আমার বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে বলে ওই ব্যক্তি সেই সমাধান করে দেওয়ার জন্য টাকা-পয়সা দাবি করে। সেইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেয়, কলকাতা পুলিশে আমার স্ত্রীকে চাকরি করিয়ে দেবেন। সেই কথা বলেই অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছ থেকে কয়েক খেপে মোট ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে প্রতারণা করেছেন’। অভিযোগ পেয়ে সোমবার রাতে শান্তিপুরের একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাংসদ জগন্নাথ সরকারেের অভিযোগ, শাসকদলের মধ্যে একাধিক প্রতারক গজিয়ে উঠেছে। এই ব্যক্তির পেছনেও শাসকদলের মদত রয়েছে। অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় নামে অভিজিৎ রায়ের কাছ থেকে যে টাকা প্রতারণা করেছে, সেই অচিন্ত্য নামটিও তার ভুয়ো হতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করুক।'
কৃষ্ণনগরের নলুয়াপাড়ার যে বাড়িতে অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন বলে জানা গিয়েছে, সেই বাড়ির বাসিন্দা মিঠু নামে একজন নিজেকে অচিন্ত্য বন্দোপাধ্যায়ের মেয়ে বলে পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, 'এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তার বাবার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।' তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রকৃত তদন্তের দাবি করেছে।