মিঠুন ঘোষের খুনের তদন্তে পরিবারের সঙ্গে পুলিশের দাবিতে উঠে আসছে বিস্তর ফারাক। সোমবার সকালে পুলিশের তরফে জানানো হয়, আগ্নেয়াস্ত্র দেখার সময় গুলি ছিটকে লেগে মৃত্যু হয়েছে মিঠুনের। ওদিকে পরিবারের দাবি, মিঠুনকে গুলি করে মেরেছে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা।
সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রবিবার রাতে ২ বন্ধুর বন্দুক দেখতে বাড়িতে গাড়ি রেখে বেরোন মিঠুন। সুকুমার ঘোষ ও সন্তোষ মোহন্ত নামে ওই দুই বন্ধুর সঙ্গে আগেরদিনও খাওয়া দাওয়া করেছেন মিঠুন। বন্দুকটি হাতে নিয়ে দেখার সময় গুলি ছুটে যায়। সেই গুলিই লাগে মিঠুনের গায়ে। মৃত্যুর আগে পরিবারের সদস্যদের কাছে সুকুমার ও সন্তোষের নাম বলেন মিঠুন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে সন্তোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে জেরায় একথা জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
পরিবারের দাবি অবশ্য আলাদা। নিহত মিঠুনের মায়ের কথায়, ছেলেকে লাগাতার হুমকি দিত তৃণমূল নেতা কাশেম। তারাই আমার ছেলেকে খুন করেছে। ছেলের খুনিদের ফাঁসির দাবি করেছেন তিনি।
নিহত বিজেপি নেতার বোন জানিয়েছেন, রাতে দাদা যখন বাড়ি ফেরে তখন আমি মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। মা দাদাকে ফোনটা দেয়। দাদার সঙ্গে কথা বলতে বলতেই ও জানায় ওর ফোনে আরেকটা কল আসছে। আমি দাদাকে বলি খেয়ে দেয়ে তার পর বেরো। মা ভাত বেড়েছে। কিন্তু মার হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে দাদা। এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফোনে খবর পাই দাদাকে গুলি করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ৩টি গুলি করা হয়েছে মিঠুনবাবুকে। যা পুলিশের দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বিজেপির দাবি, দলের কোনও নেতা বা কর্মী খুন হলেই আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলে দাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পুলিশ। রাজ্য সরকারের নির্দেশেই এই কাজ করে তারা। এক্ষেত্রেও রাতে খুনের পর বেলা গড়াতে না গড়াতেই পুলিশ জেনে গেল এটা দুর্ঘটনা। আমরা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।