মদ্যপান করা নিয়ে বিবাদ শুরু হয় দুই যুবকের মধ্যে। এই বিবাদ মীমাংশার জন্য বসেছিল সালিশি সভা। কিন্তু ডোমকলের সেই সালিশি সভাতেই ঘটে গেল রক্তারক্তি কাণ্ড। দু’পক্ষের মধ্যে চলল গুলি। আর তার জেরে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। আহত আরও দু’জন। তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে ডোমকলে? স্থানীয় সূত্রে খবর, মদ্যপ অবস্থায় অহেদ শেখ এবং রেজ্জাক শেখের মধ্যে বচসা শুরু হয়েছিল। তখন রেজ্জাক শেখ অহেদকে মারধর করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আফজাল হোসেন এবং তার দলবল রেজ্জাকের বাড়িতে চড়াও হয়। তারই মীমাংশায় বসেছিল সালিশি সভা। ডোমকলের বাবলাবোন মাঠপাড়া এলাকায় চলে গুলি। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আফজাল হোসেন নামে যুবকের।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবক আফজাল হোসেনের বাড়ি ডোমকলের মেহেদিপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে ডোমকল সুপার ষ্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই আফজাল হোসেনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহতদের মধ্যে দু’জনকেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘ডোমকলে গুলির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, মদ্যপ অবস্থায় দু’পক্ষের মধ্যে আগে মারামারি হয়েছিল। ওই ঘটনায় আফজাল হোসেন, মেহেরুল শেখ, সফিকুল ইসলাম এবং রেজ্জাক শেখকে ধরে। জিজ্ঞাসা করে, তিনদিন আগে কেন অহেদকে মারধর করেছে? তখনই দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি ও গুলি চলে। গুলিতে জখম আফজাল হোসেনের পরে মৃত্যু হয়।