সরকারি বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বেআইনিভাবে চলছে বন্যপ্রাণীর শিকার। বন্যপ্রাণীদের হত্যা করে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচার করা হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। পাচার রুখতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে বনবিভাগ। এবার ক্রেতা সেজে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচারে বড়সর পর্দা ফাঁস করল বনবিভাগ। এই বন্যপ্রাণীর আঁশ পাচারের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করল লাটাগুড়ি বনবিভাগ। একইসঙ্গে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের আঁশ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম নোয়েল ভ্যেংড়া এবং আনন্দ শর্মা। তারা দুজনেই জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, বন্যপ্রাণীর আঁশ দুবাইয়ে পাচারের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচারের খবর বনবিভাগের আধিকারিকদের কাছে আগেই ছিল। সেই কারণে ক্রেতা সেজে পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বনদফতরের কর্তারা। পাচারকারীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতেই বন দফতরের আধিকারিকদের মালবাজারে যেতে বলা হয়। সেইমতো মালবাজারে যান বনদফতরের আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে পাচারকারীদের হাতেনাতে গ্রেফতার করে বন বিভাগ।
ধৃতদের জেরা করে আরও জানা গিয়েছে, এই সমস্ত প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ওষুধ তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। বিদেশের বাজারে ভালো চাহিদা রয়েছে প্যাঙ্গোলিনের আঁশের। বিশেষ করে দুবাইয়ে এই আঁশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই কারণেই পাচারকারীরা দুবাইয়ে আঁশ পাচারের পরিকল্পনা করেছিল। তবে বনদফতরের তৎপরতায় তাদের সেই পরিকল্পনা বানচাল হল। বনদফতরের কর্তাদের মতে, এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেক পাচারকারী জড়িয়ে রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে সেই সমস্ত তথ্য জানা যেতে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।