ট্রাকে করে অরুণাচল প্রদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সাতটি হাতি। উদ্দেশ্য ছিল গুজরাটে নিয়ে যাওয়ার। তার আগেই জলপাইগুড়িতে হাতি সহ ট্রাকগুলিকে আটক করল বন বিভাগ। সেই সঙ্গে হাতিগুলি নিয়ে যাওয়ার জন্য চালক সহ ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বনবিভাগের আধকারিকরা। আজ বুধবার সকালে হাতি বোঝাই ট্রাকগুলিকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে তিস্তা সেতুর কাছে আটক করে বনবিভাগ।
ট্রাকে করে হাতি নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরেই এদিন সেখানে জলপাইগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার অফিসার সুশান্ত লাহার নেতৃত্বে হানা দেন বনবিভাগের কর্মীরা। এরপরেই ট্রাক সমেত হাতিগুলিকে আটক করা হয়। হাতিগুলি পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কি না তা জানার চেষ্টা করছে বন বিভাগ। ট্রাকে ডাঃ জাহান আহমেদ নামে একজন চিকিৎসকও ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই হাতিগুলি অরুণাচল প্রদেশ থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। আমরা যাচ্ছি গুজরাটের জামনগরের রাধা কৃষ্ণ টেম্পল এলিফেন্ট ট্রাষ্টে। হাতিগুলি পাচার করা হয়নি। এই হাতিগুলি ডোনেট করা। নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। আমরা সাতটি হাতি নিয়ে যাচ্ছি। এরমধ্যে একটি পুরুষ এবং ৬টি মহিলা হাতি।’
রাস্তার পাশেই ট্রাক সমেত হাতিগুলি দাঁড় করিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে নথিপত্র যাচাই। সেই সময় পর্যন্ত বনকর্মীরা পাহাড়া দেন। প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়িতে সম্প্রতি বহু বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। সেই কারণেই এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বনবিভাগ। নিয়ম মেনেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে।