কাটমানি নিয়ে নিম্নমানের রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের মারে প্রাণ গেল তৃণমূল নেতার। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের রাধানগর এলাকার। নিহত তৃণমূলের বুথ সভাপতি মুসাকালি মোল্লা। সোমবার কলকাতার SSKM হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার এলাকায় পথশ্রী প্রকল্পের একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। সেখানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বুথ সভাপতি মুসাকালি। এই নিয়ে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাঁধে। গণ্ডগোলের মধ্যেই মুসাকালিকে মারধর শুরু করে একদল দুষ্কৃতী। লাঠি - রড - মুগুর দিয়ে পেটানো হয় তাঁকে। মারের চোটে জ্ঞান হারান মুসাকালি। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা SSKMএ নিয়ে যেতে বলে। সেখানে বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা।
মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, আমার স্বামী মাদার তৃণমূল করতেন। আক্রমণকারীরা যুব তৃণমূলের সদস্য। রাস্তা তৈরিতে কম সামগ্রী দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামী। তাই তাঁর মাথায় মুগুর মেরে দেহ জলে ফেলে দিয়েছে বাকিবুর আর তাঁর লোকজন।
একের পর এক এই ধরণের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, মাথার ওপর তৃণমূলের হাত থাকলে কি পুলিশকে আর ভয় করছে না দুষ্কৃতীরা? তাই কি তৃণমূলের হাতেই খুন হতে হচ্ছে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে? দুষ্কৃতীরা কি জানে কাউকে খুশি করতে পারলে আর কোনও ভয় নেই?
বলে রাখি, চলতি মাসের ১৩ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে খুন হন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর। তার পর দিন কয়েক কাটতে না কাটতে আমডাঙায় তৃণমূলের হাতে খুন হন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধান। এরই মধ্যে ঝরে গেল আরও একটা প্রাণ।