মনে আছে ১০ এপ্রিলের ঘটনা। সেদিন রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন ছিল শীতলকুচিতে। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন মারা গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়েছিলেন। নির্বাচন শেষ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘোষণা করলেন, শীতলকুচিতে মৃতদের পরিবারগুলিকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর একইসঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যেই সিআইডি অফিসারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। কোচবিহারের শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শীতলকুচির ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে যাঁদের প্রাণ গিয়েছে তাঁদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়া দলমত নির্বিশেষে নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে প্রশাসন সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের গুলি চালানোর ঘটনার জেরেই পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করা হল। চতুর্থ দফার নির্বাচন চলাকালীন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। ক্ষমতায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সরিয়ে দিল কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধরকে।
অন্যদিকে গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চার গ্রামবাসীর। তৃণমূল নেত্রী ছুটে গিয়েছিলেন শীতলকুচিতে। আর আশ্বাস দিয়েছিলেন ক্ষমতায় ফিরলে গুলিকাণ্ডের তদন্ত হবে। এবার দেবাশীষ ধরের জায়গায় এলেন কে কান্নান। নির্বাচনের সময় তাঁকে সরিয়েই দেবাশীষ ধরকে এনেছিল নির্বাচন কমিশন।