রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় আন্দোলন করছেন তৃণমূলপন্থী শিক্ষাকর্মী অথবা অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এভাবে বারবার আন্দোলনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। প্রয়োজনে সাসপেন্ড করতে হবে বলেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘেরাওমুক্ত হলেন উপাচার্য, হস্তক্ষেপ করল পুলিশ
সম্প্রতি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। সেখানে তিনি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপ কুমার রায়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। উপাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্যপাল তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এক সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন। এরপর পদক্ষেপ করতে বলেছেন। উপাচার্য দাবি করেছেন রাজ্যপালের নির্দেশ, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের চিহ্নিত করে সাসপেন্ড করতে হবে। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের জন্য শহরের তৃণমূলে সহ-সভাপতি তপন নাগসহ ২০ জন অতিথি শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে শোকজ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁরা শোকজের জবাব না দিলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
উল্লেখ্য, উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে আন্দোলন হচ্ছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, উপাচার্য শুধু বিজেপির হয়ে কাজ করছেন তাই নয়, বেআইনি ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার দুপুরে তৃণমূলপন্থী শিক্ষাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করে স্মারকলিপি জমা দেন। এছাড়াও, গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষাকর্মী ও অতিথি শিক্ষক শিক্ষিকারা। পরে গভীর রাতে উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। শোকজের চিঠি পেয়ে তপন বাবু জানান, তাঁরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু করেছেন তা কোনওভাবেই দমানো যাবে না। তাছাড়া নির্দিষ্ট সময় সকলেই শোকজের জবাব দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।