মহাসপ্তমীতে তাঁর বিমান বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেছে। তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। তাও আবার পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রাক্কালে। আর সেখানে নেমেই তিনি রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন। হ্যাঁ, তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর তারপর থেকেই নবান্ন–রাজভবন সংঘাত দুর্গাপুজোতেও অব্যাহত রইল।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? এদিন বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত বিরক্তবোধ করছি। গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই হিংসা ও শোষণতন্ত্রের বীভত্স রূপ প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে। রাজ্যে আইপিএস অফিসাররাও ঠিকমতো কাজ করছেন না। এমনকী মুখ্যসচিব পর্যন্ত। রাজ্যে আমলাতন্ত্র এখন রাজনৈতিক দলের দাস। আমলারা জনতার জন্য নয়, সরকারের জন্য কাজ করেন। তাঁরা সরকারের দাস। তাই সাধারণ মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। সাংবিধানিক প্রধান হয়ে আমি এটুকুই বলতে পারি।’
হঠাৎ কেন রাজ্যপাল সরকারি আমলাদের উপর ক্ষেপে গেলেন? এমনকী মুখ্যসচিব ঠিক করে কাজ করছেন না কেন বললেন? উঠেছে প্রশ্ন। সম্প্রতি ভবানীপুর উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর ‘বিশেষ অনুরোধেই’ একমাত্র ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গিয়েছেন রেকর্ড–ভাঙা ভোটে। মুখ্যসচিবতে তলব করলেও তিনি রাজভবনমুখী হননি। এইসব কারণেই রাজ্যপাল তিতিবিরক্ত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথবাক্য পাঠ করাবার বিষয়ে রাজভবন কোনও সবুজ সংকেত না দেওয়ায় বিধানসভায় তা করার কথা আগাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়। এটাতেও তাঁর আঁতে ঘা লেগেছে বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেই। রাজভবন চিঠি পাঠিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে দেওয়া ক্ষমতা ফিরিয়ে নেন। যাইহোক রাজ্যপাল বিধানসভায় গিয়ে শপথবাক্য পাঠ করান তিনি।