নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে কাঠগড়ায় শাসকদল তৃণমূল। তারই মধ্যে অত্যাধুনিক দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া গেল আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বরে। সেখানে ভুয়ো তালিকায় নাম থানা এক গ্রুপ ডি কর্মীর খোঁজ নিতে স্কুলে গিয়ে জানা গেল, স্কুলেই আসেন না তিনি। তাঁর বদলে প্রক্সি দেন আরেক তৃণমূলকর্মী। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত কর্মী। আর যে কর্মী প্রক্সি দেন তিনি স্বীকার করেছেন, মাসে ৩ – ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে গ্রুপ ডি কর্মীর কাজ করেন তিনি। ওদিকে অভিভাবকদের দাবি, ওই ভুয়ো গ্রুপ ডি কর্মী স্কুলে ক্লাসও নিতেন।
আলিপুরদুয়ারের সোনাপুর বিকে হাই স্কুলে এক গ্রুপ ডি কর্মীর নাম রয়েছে ভুয়োদের তালিকায়। তাঁর খোঁজ করতে স্কুলে পৌঁছন সাংবাদিকরা। সেখানে গিয়ে তাঁদের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। জানা যায়, ওই ভুয়ো কর্মী নিজেকে শারীরিকভাবে অক্ষম বলে দাবি করে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে তাঁর জায়গায় কাজে লাগিয়েছেন। সত্যজিৎ সোম নামে সেই ব্যক্তির দাবি, আমি স্কুলের কর্মী নই। শিক্ষকদের খোঁজ খবর নিতে স্কুলে আসি। সঙ্গে প্র্যাকটিস করার জন্য মাঝেমাঝে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস নিই।
জালিয়াতির ওপর জালিয়াতি যে চলছে তা বিলক্ষণ জানেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত ঠাকুর। কিন্তু সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি তিনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা স্কুলের পরিচালন সমিতির এক সদস্য বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। কেউ কারচুপি করে থাকলে সাজা পাবেন।’ স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, ‘একে তো ভুয়ো নিয়োগ করেছে তৃণমূল। তার ওপর তার জায়গায় কাজ করছেন আরেক তৃণমূল নেতা। এ তো জালিয়াতির ওপর জালিয়াতি।’