দাম্পত্যকলহের জেরে আলাদা থাকতেন স্ত্রী। রেল লাইনে স্বামীর দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। নিহত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই খুন করে তাঁকে রেল লাইনে ফেলে দিয়েছে। যুবকের শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম কাজিরুল ইসলাম (২৫)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কাতলামারি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে ওই যুবক সঙ্গে উত্তর কুমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে জাসমিনারা খাতুনকে বিয়ে হয়। কিন্তু সংসার টেকেনি। ৫ মাস পর বাপের বাড়ি ফিরে আসেন জাসমিনা। এর পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন তিনি।
এরই মধ্যে স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কাজিরুলের বিরুদ্ধে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ করলে কাজিরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১ মাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি। মাস দুয়েক আগে জেল থেকে মুক্তি পান।
শুক্রবার মেলায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোলেও আর ফেরেননি কাজিরুল। শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে তাঁর মোটরসাইকেল, আধার কার্ড ও জুতো উদ্ধার হয়। এর পর শ্বশুরকে আটক করে পুলিশ। রবিবার সকালে রেললাইনে তাঁর দ্বিখণ্ডিত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
নিহতের পরিবারের দাবি, দেহ যেখানে উদ্ধার হয়েছে তার খুব কাছেই কাজিরুলের স্ত্রীর মামাবাড়ি। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই খুন করে দেহ রেল লাইনে ফেলে দিয়েছে। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে GRP। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।