জলপাইগুড়ির মালবাজারে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় যে বিপর্যয় ঘটেছিল তাতে মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজয়া দশমীর রাতে মাল নদীতে আচমকা হড়পা বানে ভেসে যান বিপুল পরিমাণ মানুষ। এখনও প্রায় ৩০ জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেলেও এখনও বহু মানুষের খোঁজ মেলেনি। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে হড়পা বানে একসঙ্গে এতজনের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী পরিস্থিতি মালবাজারে? প্রশাসন সূত্রে খবর, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে। উদ্ধারকাজের দায়িত্বে রয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই ১৬ জনকে মালবাজারের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজন মহিলা। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, প্রতিমা বিসর্জন করতে এসে হড়পা বানে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ জনের মতো নদীর একটি আইল্যান্ডে আটকে আছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীর গতিপথ বদলানো হয়েছে। তাই প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে নদীর মাঝের এলাকায় যেতে হয়েছিল। সেখানেই হঠাৎ জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় এমন বিপর্যয় ঘটেছে। বিসর্জনের সময় ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল ছিল না। আবার চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্স একসঙ্গে কাজে নেমেছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। রাতে ঘটনাস্থলে ছিলেন এসডিও, এসডিপিও–সহ বিশাল পুলিশবাহিনী।
ঠিক কী বলেছেন পুলিশ সুপার? বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও অবিরাম বৃষ্টিপাত চলছে। যার জেরে এখনও উদ্ধারকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হড়পা বানের জেরে কয়েকজন ভেসে যান। কয়েকজন নদীর মাঝে একটা চরে আশ্রয় নেন। যাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁদের সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে।’