বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় গেরুয়া শিবির ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ক্রমশই দলের অন্দরে বেসুরোর সংখ্যা বাড়ছে।সম্প্রতি মুকুল ঘনিষ্ঠ বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের মুখে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা যায়।সেই প্রশংসা থেকেই বাগদার বিধায়কের দল ছাড়ার ব্যাপারে জল্পনা তৈরি হয়েছে।একইসঙ্গে মুকুল রায়কে নিয়েও প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। তবে তিনি এখনই মুকুলের পথ অনুসরণ করবেন কিনা, সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি ওই বিধায়ক।
মুকুল রায় সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাগদার বিধায়ক জানান,‘মুকুল রায়ের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আমার মধুর সম্পর্ক।তৃণমূল নেত্রী আমাকে স্নেহ করেন।তবে এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।ভবিষ্যত বলবে, আমি কী করব।’ একইসঙ্গে মুকুলবাবুর তরফে দলত্যাগের বিষয়ে কোনও প্রস্তাব এসেছিল কিনা, সে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।এই সঙ্গে তিনি জানান,'এই রকম কোনও ফোন আসার কোনও প্রশ্নই নেই।উনি বোঝেন, দীর্ঘদিন আমি রাজনীতি করে আসছি।সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে।'
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মুকুল রায় যেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করেন, সেদিন বনগাঁয় বিজেপির সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।সেদিন সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন না বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।একইসঙ্গে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস-সহ তিনজন বিধায়ক হাজির ছিলেন না।ব্যক্তিগত কারণে সেই বৈঠকে যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বাগদার বিধায়ক।ভোটের আগে বিশ্বজিৎ দাস, সুনীল সিংয়ের মতো নেতারা বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন।