ঠিক একমাসের ব্যবধান। নদিয়ার পর এবার অঙ্কের শিক্ষকের সঙ্গে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের মারামারির ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠল দেগঙ্গা। স্থানীয় বাজিতপুর উত্তরপাড়া এমএসকে স্কুলে প্রধানশিক্ষকের ঘুষিতে নাক ফেটে রক্ত ঝরল অঙ্কের শিক্ষকের। রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুলের মেঝেতে পড়ে গেলেন তিনি। এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কে দৌড়দৌড়ি শুরু করে পড়ুয়ারা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষ্ণনগরের একটি স্কুলের মধ্যেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রধানশিক্ষক এবং ভূগোলের শিক্ষক। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আজ, শুক্রবার দেগঙ্গার বাজিতপুর উত্তরপাড়া এমএসকে স্কুলে প্রধানশিক্ষকের ঘুষিতে নাক ফেটে গলগল করে রক্ত ঝরল অঙ্কের শিক্ষকের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষকদের মারামারি দেখে ছাত্ররা কী শিখবে?
স্কুল সূত্রে খবর, বাজিতপুর উত্তরপাড়া এমএসকে স্কুলের প্রধানশিক্ষক জয়দেব ঘোষ তাঁর সহকর্মী অঙ্কের শিক্ষক কার্তিক পালকে নাকে ঘুষি মারেন। তাতেই রক্তপাত ঘটে। শুক্রবার যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। অভিভাবকরাও এই খবর পেয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেগঙ্গার দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই স্কুলে।
কেন প্রধানশিক্ষক ঘুষি মারলেন অঙ্কের শিক্ষককে? আক্রান্ত অঙ্কের শিক্ষক কার্তিক পালের অভিযোগ, প্রধানশিক্ষকের কাছে ৫০ হাজার টাকা পান তিনি। সেই টাকা চাইতেই প্রথমে বচসা এবং পরে তাঁকে মারধর করেন প্রধানশিক্ষক। নাকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানশিক্ষক পাল্টা অভিযোগ করেন, স্কুলে এসেই নানা অছিলায় বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলেন অঙ্কের শিক্ষক। তাতে রাজি না হওয়ায় তিনিই প্রথমে গায়ে হাত তোলেন।