নভেম্বরের শুরুতেও রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন জেলায় ঊর্ধ্বমুখী ডেঙ্গি চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। যার মধ্যে হুগলি জেলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তার ভাঁজ করেছে স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে। ইতিমধ্যেই এই জেলাকে ডেঙ্গি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তারপরেই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের অতিসতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হুগলি জেলার পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ বছরে মধ্যে এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি হয়েছে চলতি বছরে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ৭৮৫ জন, ২০১৯ সালে ২৪৭৫ জন, ২০২০ সালে ২০০ জন, ২০২১ সালে ৩৩৯ জন এবং ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত ৫৭২৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। যা অন্যান্য বারের তুলনায় বহুগুণে বেশি।
যদিও এর কারণ হিসাবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর মনে করছে, আগে ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ল্যাব ছিল একটি। এখন অনেক ল্যাব হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষাও বেড়েছে। তাছাড়া, গত দু বছর করোনার জন্য ডেঙ্গি পরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়নি। এখন মানুষ অনেকটাই সচেতন। জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছেন। তাই ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে। তবে এই বৃদ্ধিতে চিন্তা বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।
হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমা ভুঁইয়া বলেন, ‘হুগলি জেলা গোটাটাই হটস্পট। ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে থাকা এমন এলাকাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।' উত্তরপাড়ার ১৫ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ড, শ্রীরামপুরের ১৪, ১৬,১৭,১৯ ও ২৫ ওয়ার্ড, রিষড়ার,১১,১৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড, বৈদ্যবাটির ৫ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড, ডানকুনিতে ১২ নম্বর ওয়ার্ড এবং ভদ্রেশ্বর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষদের অতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া, গ্রামীণ এলাকার মধ্যে চন্ডীতলার মশাট, মগড়ার দেবানন্দপুর, পোলবার রাজহাট ও সুগন্ধা, বলাগড়ের শ্রীপুর ও জিরাট, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর ও রিষড়া, খানাকুল-২ এর চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকার বাসিন্দাদের অতি সতর্ক থাকতে বলেছেন।