আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই বৃষ্টি নামবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু এমন তাণ্ডব হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। মুহূর্তের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ২ নম্বর ব্লকের রামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর আশ্রমপাড়া। শতাধিক বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোটা গ্রাম প্রায় তছনছ হয়ে গেল ১০ মিনিটের ঝড়ে। এমনকী তাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক মহিলা বলে খবর। নববর্ষে ঘরবাড়ি হারালেন একাধিক গ্রামবাসী। গাছপালা ভেঙে এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে কোচবিহারে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের রামপুর এক নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর আশ্রম পাড়ায় শুরু হয় বৃষ্টি। ঝোড়ো হাওয়াও ছিল। কিন্তু এমনটা হবে তা ভাবা হয়নি। নববর্ষের সকাল থেকে ঝড়ের তাণ্ডব দেখা দেয়। তার জেরে প্রায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা গ্রাম। একাধিক বাড়ির টিনের চাল উড়ে চলে যায়। আবার কোনও কোনও বাড়ি একেবারেই ধুলোয় মিশেছে। ১০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই ঝড়ের তাণ্ডবলীলায় এক ব্যক্তিরও মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। এই আহতদের আলিপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একাধিক গাছ রাস্তার উপর উপড়ে গিয়ে গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুবেছে। এমনকী আলিপুরদুয়ারের বারোবিশা–কোচবিহারের রামপুর রাজ্য সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে রাস্তায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। দমকল কর্মীরাও হাজির হয়েছেন।
যদিও এখনও তীব্র গরম সহ্য করছে কলকাতা। এখনও সেখানে বৃষ্টি হয়নি। তবে নববর্ষের দিন উত্তরবঙ্গ তো বটেই, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেও বৃষ্টি হতে পারে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আর শনিবার–রবিবার কলকাতা–সহ দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া–সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।