বয়সটা নেহাতই সংখ্যামাত্র! সেটাই প্রমাণ করলেন বারুইপুরের হোমগার্ড। কর্মজীবনের একেবারে শেষবেলায় এসে স্বপ্নপূরণ করলেন ওই হোমগার্ড। ছোটবেলা থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে বড় হওয়ার। কিন্তু পদে পদে প্রতিকূলতা। নবম শ্রেণির পরে আর্থিক সমস্যার জেরে আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু জেদ ছিল অদম্য। আর অবসরের ঠিক পাঁচ মাস আগে রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করলেন তিনি। নাম প্রভাসচন্দ্র মণ্ডল। বাড়ি কলকাতার পঞ্চান্নগ্রামে। কাজের সূত্রে থাকেন সোনারপুরে। কর্মস্থল বারুইপুরের পুলিশ সুপারের অফিসে।
সব মিলিয়ে তিনি ২৮৫ নম্বর পেয়েছেন। মার্কশিট হাতে নিয়েই তিনি চলে গিয়েছিলেন পুলিশ সুপারের অফিসে। সেখানে গিয়ে পুলিশ কর্তাদের তিনি মার্কশিট দেখান। প্রভাসবাবুর এই সাফল্যে তাঁরাও খুশি। সহকর্মীরাও অত্যন্ত খুশি এই রেজাল্টে। আর প্রভাসচন্দ্র মণ্ডল প্রমাণ করে দিয়েছেন জেদ থাকলে জীবনে সব কিছুই হয়।
চাকরি সামলে তিনি ক্লাসও করেছেন। প্রিয় বিষয় বিজ্ঞান। তবে মাধ্য়মিকেই থামতে চান না তিনি। আরও এগিয়ে যেতে চান। আগামী দিনে তিনি উচ্চমাধ্যমিকেও ভর্তি হতে চান। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিজ্ঞা করেছিলাম মাধ্যমিক পাশ করতেই হবে। সেই জেদ থেকেই এগিয়ে গিয়েছি। পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপাররা যদি সহায়তা না করতেন তবে আরও এগোতে পারতাম না।পরিবারে সন্তানরাও উৎসাহ দিয়েছে।