বাড়ি থেকে টিউশনে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল খুদে পড়ুয়া৷ সেই অভিযোগ থানায় জমা পড়তেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আর ৩৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ৬ বছরের ছাত্রকে উদ্ধার করল পুলিশ৷ কিন্তু এই খুদে পড়ুয়াকে অপহরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম জানতে পেরে অবাক পুলিশ কর্তারা! কারণ এই খুদে পড়ুয়া যে গৃহশিক্ষকের কাছে পাঠ নিতে যেত সেই গৃহশিক্ষকই এই অপহরণের ছক কষেছিল বলে অভিযোগ। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনা ঘটেছে উস্তি থানা এলাকায়৷ ধৃত গৃহশিক্ষকের নাম আমানুল্লা মোল্লা (১৯)৷ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এই গৃহশিক্ষক৷ এই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ত খুদে পড়ুয়া। নিজের ছাত্রকেই অপহরণের ছক কষেছিল সে৷ এমনকী খুদে পড়ুয়ার অভিভাবকের কাছে ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়েছিল৷ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল এখানে? স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগণার উস্তি থানা এলাকার সংগ্রামপুরের বাসিন্দা পেশায় দর্জি হান্নান আকন। তাঁর ৬ বছরের ছেলে গৃহশিক্ষক আমানুল্লা মোল্লা নামে যুবকের কাছে পড়তে গিয়েছিল৷ কিন্তু সে বাড়ি ফেরেনি৷ তখন পরিবারের লোকজন খোঁজখবর শুরু করে। ওই গৃহশিক্ষককে ফোন করলেও কোনও সদুত্তর মেলেনি৷ তারপর উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।
কিভাবে ধরা পড়ল অপহরণ কাণ্ড? পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে দুটি দল গঠন করে পুলিশ৷ ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে এবং উস্তি থানার ওসি লিটন রক্ষিত দুটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন৷ তদন্তে নেমে আক্তার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ তাকে জেরা করেই একটি সূত্র মেলে। তারপর দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে জেরা করেই ক্যানিং এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে পুলিশ।
কেন এই অপহরণ করা হয়েছিল? জেরায় ধৃতরা পুলিশকে জানায়, ছাত্র অপরহণের মূলচক্রী আমানুল্লা মোল্লা নামে ওই গৃহশিক্ষকই৷ সে নিজেই ওই ছাত্রকে অপহরণকারীদের মোটরবাইকে তুলে দিয়েছিল। কারণ নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিল। সেই টাকা জোগাড় করতেই এই অপহরণের পরিকল্পনা।