বাড়িটা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। তাই মেরামতির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেটা যে নির্মম পরিণতি ডেকে আনবে সেকথা কল্পনাতেও আসেনি শাশুড়ি–বৌমার। আসলে বাড়িটি মাটির তৈরি ছিল। সেটাকেই মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর তারপরেই দেওয়াল ধসে পড়ল। আর সেই দেওয়ালে চাপা পড়ে মৃত্যু হল শাশুড়ি–বৌমার।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে হলুদবাড়ি এলাকায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়েই দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম কল্পনা ভুঁইয়া (৫৬) এবং পঞ্চমী ভুঁইয়া (৩২)। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন কল্পনার শ্বশুর বিভাস ভুঁইয়াও। তিনি তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্মাণ কাজ ঠিক হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ছোট জমিতে চাষ করে সংসার চালাতেন বিভাস। তাঁর ছেলে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। অভাব–অনটনেই চলে সংসার। তাই মাটির বাড়ি জরাজীর্ণ হযে পড়লেও রাতারাতি মেরামত করা যায়নি। সেই কাজেই হাত দেওয়া হয়েছিল বহু বছর বাদে। তারপরেই দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল শাশুড়ি–বৌমার।
কী করে ঘটল এই দুর্ঘটনা? জানা গিয়েছে, মেরামতির কাজ শুরু হলে পাশের ঝুপড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন ভুঁইয়া পরিবার। মেরামতির কাজ হয়ে গেলে সেখানে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। মঙ্গলবার থেকেই ওই মাটির বাড়িতে কাজ শুরু হয়েছিল। তখন সেখান থেকে মালপত্র সরানোর বাইরে নিয়ে আসছিলেন পরিবারের তিনজন। তখনই জোরালো শব্দ হয়। দেখা যায়, চাপা পড়ে গিয়েছেন কল্পনা ভুঁইয়া ও পঞ্চমী ভুঁইয়া। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।