ফের রাজ্যে সাপের কামড়ের পর ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ায় মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। কোনও অজ গাঁ নয়। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভা এলাকায়। এর আগেও বনগাঁ ও লাগোয়া এলাকায় ওঝার দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে। এব্যাপারে বিজ্ঞানমঞ্চের তরফে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়েও কাজ হচ্ছে বলে দাবি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বধূর নাম সুষমা রায়। বনগাঁর জোড়া ব্রিজ এলাকায় থাকেন তিনি। বিভিন্ন বাজারে সবজি বিক্রি করে তাঁর সংসার চলে। সেজন্য বৃহস্পতিবার বাড়ির পাশের বাগানে মোচা কাটতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই তাঁর পায়ে একটি সাপ দংশন করে। কাছেই ছিলেন বধূর মা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে মেয়েকে পাশের গ্রামে ওঝার কাছে নিয়ে যান। ওঝা জানান সুষমাদেবীকে কোনও বিষধর সাপ কামড়ায়নি। এর পর তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন মা। তার কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুষমা।
ওঝার দাবি, ‘বধূর অন্য কোনও রোগে মৃত্যু হয়েছে। আমি ওষুধ দিয়ে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু ওর পরিবারের সদস্যরা তা করেনি। তারা বাড়ি ফেরত নিয়ে গিয়েছে।’
এই ঘটনায় স্থানীয় বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক বলেন, ‘এই এলাকায় ওঝা গুণিনের দাপট নতুন কিছু নয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত মানুষ প্রথা মেনে সাপে কামড়ালে তাদের কাছেই নিয়ে যান। আমরা বহু বার গ্রামে গ্রামে প্রচার করেছি। কিন্তু ফল খুব বেশি মেলেনি। তবে এদিনের ঘটনার পর আমরা ফের প্রচারে নামব।’