বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > রাঙামুড়ি, জলকাক আরও কত পাখি এল বাঁকুড়ায়, গণনা করছে বনদফতর

রাঙামুড়ি, জলকাক আরও কত পাখি এল বাঁকুড়ায়, গণনা করছে বনদফতর

প্রতি বছরই শীকতাল এলে পরিযায়ী পাখিরা আসে দেশের বিভিন্ন জলাধার ও সংলগ্ন এলাকায় (ANI Photo) (Samir Kar)

রীতিমতো পক্ষী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পাখি গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই পরিযায়ী পাখিদের যাতে কোনওভাবেই বিরক্ত করা না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে চাইছে বনদফতর।

শীতকাল মানেই পাখিতে পাখিতে ভরে যায় বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার ও সংলগ্ন এলাকা। নানা প্রজাতির পাখির আনাগোনা লেগেই থাকে। এর মধ্যে বহু পাখিই ভিনদেশ থেকে আসে। বনদফতর সূত্রে খবর রাঙামুড়ি, জলকাক, বালি হাঁস, কাদাখোঁচা সহ প্রায় ৩০টিরও বেশি প্রজাতি আসে এই জলাধারে। এবার কত সংখ্যক পাখি রয়েছে সেটাই গুনে দেখতে চাইছে বনদফতর। বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগ এই কাজে উদ্যোগী হয়েছে। তবে পাখি গোনা কি মুখের কথা! রীতিমতো পক্ষী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পাখি গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই পরিযায়ী পাখিদের যাতে কোনওভাবেই বিরক্ত করা না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে চাইছে বনদফতর। 

তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, শুধু মুকুটমণিপুরেই নয়, পার্শ্ববর্তী একাধিক জলাশয়েও এই পাখির দল যায়। সংলগ্ন এলাকায় বাসা বাঁধে। তাদের সংখ্যাও নির্ধারণ করতে চাইছে বনদফতর। এদিকে করোনা অতিমারির জেরে মানুষের যাতায়াতে অনেক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু পরিযায়ী পাখিরা অবশ্য আগের নিয়ম মেনেই শীতকাল আসতেই পাড়ি জমিয়েছে দূর দেশে। সাঁতরাগাছির ঝিলেও দলে দলে এসেছে পরিযায়ী পাখির দল। যেভাবে আসে প্রতি বছর। এবছরও সেখানে পাখি গণনা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে সব মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার ৭৪২ পরিযায়ী পাখি এসেছে সাঁতরাগাছিতে। ট্রান্স হিমালয়ান প্রজাতির পাখিরাও এসেছে এবার সাঁতরাগাছিতে। 

 

বন্ধ করুন