মোবাইল ফোন খারাপ হয়ে যাওয়ায় অনলাইনে ক্লাস না করতে পারায় পরীক্ষায় ফেল করার আশঙ্কা। সামান্য এই কারণে আত্মঘাতী হলেন হাওড়ার এক কিশোরী। নিহত শিবানী কুমারি আদপে বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা। লকডাউনে সেখানেই আটকে পড়েছিলেন তার মা-বাবা।
হাওড়ার নিশ্চিন্দার রাজচন্দ্রপুরে ভাড়া বাড়িতে দাদার সঙ্গে ছিলেন শিবানী। স্থানীয় লিটল বার্ডস স্কুলের দশমের ছাত্রী ছিল সে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মোবাইল ফোনটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় অনলাইনে ক্লাস করতে পারছিল না সে। ফলে সে পিছিয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কায় ভুগছিল। বৃহস্পতিবার সেই আশঙ্কাতেই আত্মঘাতী হয় শিবানী।
ছাত্রীর দাদা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে অল্প সময়ের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। ফিরে ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খোলেনি। এর পর প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে বোন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।