হাওড়া হিংসার পরিকল্পনায় জড়িত পুলিশও। রবিবার শিবপুরে উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন উপদ্রুত এলাকায় ঢুকতে পারেননি সুকান্তবাবু। তবে কয়েকজন আক্রান্তের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এর পরই এই বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি।
এদিন সুকান্তবাবু বলেন, আমাকে আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পঞ্চশীল, বিবেক ভবনসহ একাধিক বহুতলের মানুষ কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁরা আমাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছেন। আমাদের কাছে ভিডিয়ো আছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক জায়গায় RAF মোতায়েন রয়েছে। হামলা হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সেখান থেকে RAF সরে যায়। অর্থাৎ পুলিশ জানত সেখানে হামলা হবে। পুরোটাই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হাওড়ার শিবপুরের পিএম বস্তি এলাকায় রাম নবমীর মিছিল যখন যাচ্ছিল সেখানে আগে থেকেই একটা মাইক বাজছিল। পুলিশ গিয়ে সেই মাইকের তার খুলে দেয়। তার পরই মিছিলে হামলা হয়। আমি জানি না পুলিশের তরফে ওটা কোনও সংকেত ছিল কি না।
এদিন রাজ্যে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকেও ব্যাপক আক্রমণ করেন সুকান্তবাবু। বলেন, সিআইডি তদন্তে কী হবে আমাদের জানা আছে। সিআইডি হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুকুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলবেন, ওরা তেমন ঘেউ ঘেউ করবে।
এদিন শিবপুরে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন সুকান্তবাবু, ১৪৪ ধারা জারি আছে বলে সুকান্তবাবুকে বাধা দেন পুলিশকর্মীরা। পালটা সুকান্তবাবু বলেন, ১৪৪ ধারা মন্ত্রী অরূপ রায়ের জন্য কার্যকর হল না কেন?