পারিবারিক অশান্তি চরমে উঠেছিল। তারইমধ্য়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী'কে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কেশিয়াড়ি এলাকার সাঁতরাপুরের সিঙ্গাই গ্রামে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। মৃতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই বধূর নাম সোমা রাণা (২৮)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ বছর আগে বেলদা থানা এলাকার বাসিন্দা গতি রানার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সিঙ্গাই গ্রামের সোমার। বিয়ের বছর খানেক বাদে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতে শুরু করে অভিযুক্ত গতি। দম্পতির দু’টি সন্তানও রয়েছে। এখন ওই বধূ সন্তানসম্ভবা ছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, নানা কারণে প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। এদিনও তাঁদের মধ্য তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। ওই বধূর মা লক্ষ্মী রানার অভিযোগ, দু’জনের ঝগড়া থামাতে না পেরে প্রতিবেশীদের ডাকতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। সারা ঘর চাপ চাপ রক্তে ভেসে গিয়েছে। বধূকে খুন করার পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় ওই অভিযুক্ত বলে অভিযোগ।
মৃতের মায়ের অভিযোগ, প্রতিবেশীদের খবর দিতে বাইরে বেরতেই, মেয়েকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে জামাই। এর পরই প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এর পরই অভিযুক্তের খাঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।