বিজেপিতে যোগদানের পর কাঁথিতে শুভেন্দুর প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনজোয়ার। জনপ্লাবনে ভাসতে ভাসতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু বললেন, ‘আমার ভাইপোয় সমস্যা নেই। আমার সমস্যা তোলাবাজ ভাইপোয়।’
বুধবার কাঁথিতে তৃণমূলের সভায় ছিলেন না অধিকারীবাড়ির কোনও সদস্য। সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম ও অখিল গিরির জনসভায় লোক হয়েছিল ভালই। বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর পালটা কর্মসূচিতে বিজেপির তরফে হাজির ছিলেন সৌমিত্র খাঁ ও জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন বেলা ৩টেয় কাঁথি-মেছেদা বাইপাস থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার পর পরনোর কথা ২ ঘণ্টায়। তার পর কাঁথি বাসস্ট্যান্ডের কাছে মাঠে হয়েছে জনসভার আয়োজন। কাঁথির পথ দিয়ে শুভেন্দুর মিছিল এগনোর সময় দুপাশের বাড়িগুলি থেকে ফুল ছুঁড়তে থাকেন স্থানীয়রা।
মিছিলে জনপ্লাবন দেখে উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু যদিও জনসভার অপেক্ষা করেননি। মিছিল থেকেই ফের একবার তৃণমূলের উদ্দেশে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, ‘আমার আপত্তি ভাইপোতে নয়। আমার আপত্তি তোলাবাজ ভাইপোয়।’ সঙ্গে গতকালের সভার ২ মহারথী সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিমকেও আক্রমণ করেন তিনি। দাবি করেন, বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ২০০ আসনে জিতবে বিজেপি। তোলেন ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বণী।
শুভেন্দু বলেন, ‘কলকাতাকে যিনি মিনি পাকিস্তান বলেছিলেন তিনি আমাকে গতকাল নীতিশিক্ষা দিয়ে দিয়ে গিয়েছেন।’ সৌগতবাবুর মুখেও নীতির কথা মানায় না বলে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন সৌগত রায়।
এদিন শুভেন্দুর মিছিল থেকে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘এই জনপ্লাবনই বলছে ২০২১এ তৃণমূলের শাসন শেষ হতে চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪টি কেন্দ্রে প্রার্থী জোগাড় করা মুশকিল হবে তৃণমূলের পক্ষে।’