গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় ইডির ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নিজে। গ্রেফতারির পর আদালতে এই স্বীকারোক্তি তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহানের। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দেখিয়েছে পুলিশ। বেলা ১০টা নাগাদ তাকে বসিরহাট আদালতে পেশ করা হলে শাহজাহান স্বীকার করে, তার নির্দেশেই হামলা হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের ওপরে।
এদিন আদালতে মাত্র ১০ মিনিট সওয়াল জবাব হয়। শাহজাহানের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। তখনই শাহজাহান বলে, সাত সকালে কোনও নোটিশ ছাড়া ইডির আধিকারিকরা আমার বাড়তে এসেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমি গ্রেফতারির আশঙ্কা করে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই অনুগামীদের ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলা করার নির্দেশ দিই। তাদের জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিতে বলি।
শাহজাহানের নির্দেশেই তাদের আধিকারিদের ওপর হামলা চলেছে বলে আগেই আদালতে জানিয়েছিল ইডি। ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়, গত ৫ জানুয়ারির ইডির দল শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছনোর পর তৃণমূলি গুন্ডাকে ফোন করেন এক তদন্তকারী আধিকারিক। ইডির তরফে ফোন করা হয়েছে শুনেই ফোন কেটে দেন শাহজাহান। এর পর তার ফোনের কল লিস্ট পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ইডি আধিকারিকের ফোন কেটে দেওয়ার পর নিজের ২টি ফোন থেকে ৩ মিনিটে ২৮টা ফোন করেছিলেন শাহজাহান। তার ১৫ মিনিটের মধ্যে সেখানে জড়ো হয়ে যায় প্রায় ৩ হাজার দুষ্কৃতী। ইডির দাবি ছিল, অনুগামীদের ফোন করে ইডির ওপর হামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল শাহজাহান। এদিন আদালতে সেই অভিযোগ স্বীকার করল সে।