কুকুরের বকলেস গলায় পেঁচিয়ে স্ত্রী'কে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে জেরা করে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। তাঁকে কয়েকবার জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। মৃত ঈপ্সার পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ওড়িশায় ফ্ল্যাট কিনতে টাকা না দেওয়ার জন্যই খুন করেছেন বিপ্লব। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
এই হত্যাকাণ্ডে হতবাক বিপ্লবের সহকর্মীরাও। দুর্গাপুরের মামরাবাজার এলাকার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের কাছে কম কথা বলার মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন বিপ্লব। সহকারী ম্যানেজার কীভাবে রাতারাতি খুনি হয়ে গেলেন, তা কল্পনাও করতে পারছেন না তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ঈপ্সা প্রিয়দর্শিনীকে খুনে অনুতপ্ত বিপ্লব পারিয়াদ। কেন স্ত্রীকে খুন করলেন ? এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলেই ডুকরে কেঁদে উঠছেন তিনি।
জেরায় উঠে এসেছে, বাইরে থেকে খাবার কিনে খাওয়া পছন্দ করতেন ঈপ্সা। তদন্তকারীরা তল্লাশি চালিয়ে জানতে পেরেছেন, ঈপ্সার ঘরে শাড়ি, গয়না ছাড়াও প্রসাধনী সামগ্রীর কোনও অভাব ছিল না। স্ত্রী'র নিত্যনতুন বায়নায় মেজাজ হারানোর কথা যেমন বলেছেন, তেমনই তদন্তকারীদের সামনে স্ত্রী'র প্রতি আবেগও চেপে রাখতে পারেননি বিপ্লব। জেরার সময় তিনি কেঁদেছেন। তদন্তকারীদের তিনি বলেছেন, ‘ঈপ্সাকে আমি ভয় দেখাতে চেয়েছিলাম। ওকে মারতে চাইনি। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সব কিছু শেষ হয়ে যাবে, বুঝতে পারিনি।’
গত রবিবার রাতে স্ত্রী ঈপ্সা প্রিয়দর্শিনীকে গলায় কুকুরের বকলস পেঁচিয়ে খুন করেন বিপ্লব। সোমবার সকালে বাইক চালিয়ে কাঁকসা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। স্ত্রী'কে খুনের অভিযোগে সেদিনই তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তখন থেকে পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন বিপ্লব।