আদালতের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হতেই নিজের সমর্থনে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়ার মেয়ে শিবানী খাঁড়া। তাঁর দাবি, বাবার সুপারিশে নয়, নিজের যোগ্যাতাতেই চাকরি পেয়েছেন তিনি। গত সোমবার আদলতে যে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে গুণধরবাবুর ২ মেয়ে শিবানী ও সীমার নাম।
সংবাদবাধ্যমকে শিবানীদেবী জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে সালেরপুর সুকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন তিনি। তার পর থেকে ওই পদেই চাকরিরত রয়েছেন তিনি। এখনো তাঁর কাছে বরখাস্তের কোনও নথি পৌঁছয়নি। গরমের ছুটিতে স্কুল বন্ধ। তাই স্কুলে যাচ্ছেন না তিনি।
নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জানিয়ে শিবানীদেবী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে আমার ভালো নম্বর ছিল। তার পর বাংলায় বিএ ও এমএ করেছি। সরিষা রামকৃষ্ণমিশন থেকে ডিএলএড করেছি। ২০১৪ সালে টেটে সফলভাবে উত্তীর্ণ হই। নিয়োগপত্র পাই ২০১৭ সালে।
গত সোমবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদের বেআইনিভাবে অতিরিক্ত ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় আদালত। বুধবার আদালতে হলফনামা দিয়ে সংসদের তরফে জানানো হয়েছে সংখ্যাটা ২৬৯ নয়, ২৭৩।