বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দিলেন রেণু খাতুন। জবানবন্দি দিয়ে বেরিয়ে আসার পর রেণু পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘জীবনে যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, আমি স্বামীর কাছে ফেরত যাব না।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সরকারি চাকরিতে আপত্তি জানিয়ে স্বামী শের মহম্মদ স্ত্রী রেণু খাতুনের ডান হাতের কব্জি কেটে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে কাজে যোগ দিয়েছেন রেণু খাতুন। কাজে যোগ দেওয়ার একদিনের মধ্যেই কাটোয়া মহকুমা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে আসেন রেণু। বর্ধমানে তাঁর দিদির বাড়ি। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ দিদির বাড়ি থেকে রেণুকে গোপন জবানবন্দি দিতে নিয়ে যায়। সূত্রের খবর, গোপন জবানবন্দিতে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছেন রেণু খাতুন। তদন্তকারীদের মতে, রেণুর এই গোপন জবানবন্দি তদন্তে অগ্রগতির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিমধ্যে পুলিশ রেণুর স্বামী শের মহম্মদকে গ্রেফতার করেছে। সেইসঙ্গে তাঁর সঙ্গীদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন আদালতে যাওয়ার আগে স্বামীর সাজা চেয়ে রেণু জানান, ‘এটা ওদের ভুল নয়। এটা পাপ। পুরো প্ল্যান করে এটা ওরা করেছে। যেহেতু প্ল্যান করে করেছে, তাই এর সঙ্গে যারা যারা জড়িত, তাদের সবার শাস্তি হোক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আর্জি জানাব যাতে ওদের শাস্তি হয়।’ উল্লেখ্য, গতকাল কাজে যোগ দিয়েই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক প্রণব রায়ের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন রেণু। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।