আসন দখল ঘিরে বচসা, হাতাহাতি। কোনও নির্বাচনী আসন নয়, মঞ্চের আসনকে দখল ঘিরেই এই ঝামেলা। তাও আবার মন্ত্রী বিধায়কদের উপস্থিতিতে ঘটল এমন কাণ্ড। এমনই দৃশ্য দেখা গেল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায়। নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের কর্মীরা।
মূলত তৃণমূলের ব্লক সংগঠনের নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা হওয়াকে কেন্দ্র করেই এই ধরনের ঘটনার সূত্রপাত বলে সূত্রের খবর। গতকাল ভগবানগোলায় তৃণমূলের পক্ষ সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, স্থানীয় বিধায়ক মহম্মদ আলি এবং অন্যান্য নেতৃত্ব। কিন্তু, ঝামেলা হয় নবনিযুক্ত ব্লক যুব সভাপতি ফারুক আব্দুল্লাহ, ব্লক মহিলা সভাপতি হাসিনা বানু এবং শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সাবরুজ্জামানের নাম ঘোষণা হতেই। তাদের মঞ্চে ডাকার পরেই প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। এর পরে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।
এ বিষয়ে বিধায়ক জানিয়েছেন, ওই মঞ্চে ৮ জনের বসার আসন নির্দিষ্ট ছিল। নবনিযুক্ত তিন সভাপতিদের নাম মঞ্চের আসনে বসার জন্য ছিল না। তবে তারা যেহেতু সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন তাই তাদের মঞ্চে ডাকা হয়েছিল। এই ঘটনাকে অনভিপ্রেত ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন বিধায়ক। এ বিষয়ে ভগবানগোলা ব্লকের তৃণমূল নেতা সাবির আলির মন্তব্য, তিনজনকে মঞ্চে ডেকে বাকিদের অপমান করার অধিকার কারও নেই। যদিও এই ঘটনায় মন্ত্রী নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রকাশ্য সভাতেই তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, ‘আমার অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।’ অন্যদিকে, এই সাংগঠনিক সভার আয়োজকের দায়িত্বে থাকা নবনিযুক্ত ব্লক সভাপতি মহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে ব্যাক্তি ব্যক্তি আক্রোশের জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কোনওভাবেই দল বিরোধী কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।’