নিম্নচাপের বৃষ্টির জলে ভাসছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ওপর আবার সাগর ও নদীতে জলস্ফীতির আশঙ্কা। সব মিলিয়ে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগরের নীচু এলাকার বাসিন্দারা।
রবিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে কাকদ্বীপে স্টিমারঘাট, তিলকচন্দ্রপুর, ৮ নম্বর লট, মৌসুনি দ্বীপ, ঘোড়ামাড়া দ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সাগর ব্লকের সাউঘেরি, মুড়িগঙ্গা, বোটখালির কয়েকটি জায়গাতেও জল জমে আছে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ, পুজালি, মহেশতলা, ডায়মন্ডহারবার, সোনারপুর এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে জল জমে রয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে। তবে এই সব জায়গার থেকেও সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়ার আশঙ্কা আরও বেশি। এদিন কোটাল আসার খবর রয়েছে। ফলে নদী ও সাগরে জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জলস্তর বাড়লে আশেপাশের নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। ফলে পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হতে পারে, সেই আশঙ্কাতেই দিন গুজরান করছেন এই এলাকার মানুষেরা।
তবে ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে সুন্দরবনের নীচু এলাকা থেকে মানুষজনদের সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। খারাপ আবহাওয়া থাকার জন্য সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারদের ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য দফতর। ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘির ঘাটে ট্রলারগুলির ফিরে আসা শুরু হয়েছে। তবে টানা বৃষ্টির জেলে এই এলাকায় বিপুল পরিমাণে চাষের জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বহু জায়গায় ধানের জমি ও পানের বরজ জলে ডুবে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবারও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে এরপর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নতির পথে যাবে। তবে ইতিমধ্যেই চা্যের জমির যা ক্ষতি হয়েছে, তাতে মাথায় হাত সুন্দরবন এলাকার অনেক কৃষক পরিবারেরই।