দলের ভেতরে আগুন জ্বলছে বছরখানেক ধরে। বুধবার তার আঁচ পেলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন সন্ধেবেলা ধনেখালির মদনমোহনতলায় জনসভা সেরে গাড়িতে কলকাতায় ফিরছিলেন দিলীপ ও লকেট। মহেশ্বরপুর আসতেই তাঁদের গাড়ি থামিয়ে ঘেরাও করে প্রায় শ’খানেক মানুষ। বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পড়ে বিজেপি–র ওই দুই শীর্ষ নেতৃত্ব জানতে পারেন যে তাঁরা দলেরই লোকজন।
কিন্তু এভাবে গাড়ি থামানোর কারণ কী? বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ তাঁদের মণ্ডল সভাপতিকে নিয়ে। কারণ, ধনেখালি ও সমসপুরের নবনিযুক্ত মণ্ডল সভাপতি অজয় কৌলে এর আগে তৃণমূল করতেন। অভিযোগ, তৃণমূলে থাকার সময় তাঁর হাতে অনেক বিজেপি কর্মী–সমর্থক আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা দাবি জানান, অজয়কে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিতেই হবে। দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায় বিক্ষোভকারীদের কথা মন দিয়ে শুনে তাঁদের জানান এ ব্যাপারে তাঁরা দলকে জানাবেন। এর পরই ওঠে বিক্ষোভ।
যদিও গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা জড়িয়ে আছে বলে মানতে নারাজ দলের হুগলি জেলা সাংগঠনিক সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মতে, তৃণমূলের লোকজনই এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। যদিও, ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র জানিয়েছেন, বিজেপি–র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যেখানেই কোনও ঘটনা ঘটছে সেখানেই দায়ী করা হচ্ছে তৃণমূলকে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপি–র সেই মণ্ডল সভাপতি অজয় কৌলের দাবি, তিনি বিজেপি–র বহু পুরনো কর্মী। ৬ বছর ধরে গেরুয়া শিবিরের জন্য কাজ করে চলেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তিনি কানে তোলেননি।