পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ফের আইএসএফের নেতাকে মারধর এমনকি পেটে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ওই আইএসএফ নেতা। আক্রান্ত আইএসএফ নেতার নাম রাইনুর মোল্লা।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় দু-নম্বর ব্লকের নাংলা এলাকায়। অভিযোগ ওই এলাকায় আইএসএফের একটি রাজনৈতিক কর্মীসভা ছিল। সেই সভা শেষে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন আইএসএফ নেতা রাইনুর মোল্লা। সেই সময় বাইকে করে কিছুটা দূরে আসতেই তার পথ আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপরে তাঁকে বাইক থেকে নামিয়ে দুষ্কৃতীরা রাস্তায় ধরে প্রথমে ধাক্কা মারে। তারপর পেটে বন্দুক ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই ঘটনায় কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে যান রাইনুর। ঘটনায় তিনি কাশিপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
রাইনুর মোল্লা জানিয়েছেন, ‘আমি রাত ৮টা নাগাদ বাইকে করে ফিরছিলাম। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী পথ আটকে আমাকে বাইক থেকে নামায়। তখন তারা আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে এবং বন্দুক বের করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারা আমাকে হুমকি জানায়, এই এলাকাটা তৃণমূলের এখানে ভাইজানের আসা চলবে না।’ দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন রাইনুর মোল্লা। তাঁর দাবি, শীতের রাতে স্পষ্ট ভাবে তিনি কারও মুখ দেখতে পাননি, তবে একটি সাদা রঙের বাইক দেখতে পেয়েছেন। ওই বাইকটি একজন তৃণমূলের কর্মীর। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলই এই ধরনের কাজ করেছে বলে তাঁর অভিযোগ। এর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ। তবে এ বিষয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।