রাজ্যে ফের বাম – কংগ্রেস – বিজেপি জোটের কাছে হার তৃণমূলের। দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গে। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে সমবায় নির্বাচনে জোটের ঢেউয়ে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, এই জোট অনৈতিক। বিরোধীদের দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ একজোট হওয়া অনৈতিক নয়। আর তৃণমূল মানেই তো দুর্নীতি।
রবিবার উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানা প্রাইমারি টিচার্স কো- অপারেটিভের নির্বাচন ছিল। সমিতির ৯টি আসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের ছাতার তলায় একজোট হয়ে প্রার্থী দিয়েছিলেন বিরোধীরা। ৪টি আসনে প্রার্থী দেয় বামেরা, ৫টিতে বিজেপি। বাম ও বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থন করে কংগ্রেস।
এদিন ভোটগ্রহণের পর গণনা শুরু হতেই কিছু দুষ্কৃতী মুখে গামছা বেঁধে গণনা কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশ ও RAF তাদের তাড়ায়। যার জেরে ঘটনাস্থলে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়।
সন্ধ্যার পর ফল বেরোলে দেখা যায় ৯টি আসনের প্রতিটিতেই জিতেছে বিরোধী জোট। তার পরই লাল ও গেরুয়া আবির খেলা শুরু হয়ে যায় ইটাহার বিডিও অফিসের সামনে।
এর আগে মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় মহাজোটের কাছে পরাজিত হয়েছে শাসকদল। মহিষাদল থেকে যে ধারা শুরু হয়েছিল তা জারি ছিল এগরা, কোলাঘাটেও।
রবিবারের হারের পরও জোটকে গাল পাড়তে ছাড়েনি স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। যদিও জোটের কথা মানতে নারাজ বিরোধীরা। প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের নেতা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘এখানে কোনও রাজনৈতিক জোট হয়নি। মানুষের জোট হয়েছিল। নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। তাই তৃণমূল হেরেছে। রাজ্যে যে কোনও জায়গায় নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তৃণমূল হারবে। মানুষ জিতবে’।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা কার্তিক দাস বলেন, ‘এই জোট অশুভ। তৃণমূলকে রুখতে নীতি আদর্শ ভুলে সবাই একজোট হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে আগে এদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে। এতে আগামীতে আমাদের ফল আরও ভালো হবে।’