জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাইরে থেকে জল ঢালার বিকল্প ব্যবস্থা করতে বললেন তিনি। শুক্রবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে দায়ের এক মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দেন তিনি।
চলতি শ্রাবণে জলপাইগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে বিগ্রহের ওপরে জল ঢালতে বাঁধভাঙা ভিড় হচ্ছে। গত সোমবার জল্পেশে জল ঢালতে যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জন যুবকের। ওই দিনই জল্পেশ মন্দিরের অপরিসর প্রবেশ পথে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। এর পরই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও মন্দির কমিটির প্রতিনিধিকে তলব করেন বিচারপতি। এর পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
পার্থ - অর্পিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, শ্রাবণ মাসের আগামী ২টি রবিবার ও সোমবার ভক্তরা জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবে না। মন্দির প্রাঙ্গনে জল ঢালার বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। এই ২ দিন কোনও টিকিট বিক্রি করা চলবে না। জল ঢালার বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। যাতে মন্দিরের বাইরে ঢালা জল গিয়ে বিগ্রহের ওপরে পড়ে।
এই রায়ে মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরিন্দ্রনাথ দেব বলেন, ‘জল্পেশ মন্দির চালাতে বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। ভক্তদের কাছে টিকিট বিক্রি করে সেই টাকা সংগ্রহ করা হয়। আদালতের নির্দেশে সেই আয় মার খাবে।’ তিনি বলেন, রবিবার রাত ২টো থেকে সোমবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত জল ঢালা যাবে। তবে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না।