সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছিলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলরের

সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি।

হাসপাতালে নিযে যাওয়া হচ্ছে তপন কান্দুকে

সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। সেইসময় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে হত্যা করা হল। সেই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলের ২০০ মিটারের মধ্যে ছিল পুলিশের গাড়ি।

আর পাঁচটা দিনের মতো রবিবার সন্ধ্যায় ঝালদা বাঘমুণ্ডির রাস্তায় সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর। তারইমধ্যে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় একটি বাইক। খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের রাঁচির হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। রাঁচির হাসপাতালে ভরতির আগেই মৃত্যু হয় কংগ্রেস কাউন্সিলেরর।

চলতি মাসেই ঝালদা পুরসভার দু'নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন তপন। যে পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়ে আছে। পাঁচটি করে আসন জিতেছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। দুটি আসনে জিতেছেন নির্দল প্রার্থীরা। সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।

পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে এই খুনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ আছে। পুলিশকে সত্যিটা বের করতে হবে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারির দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করব।’ অন্যদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশের গাড়ি ছিল। তারপরও খুন হতে হয়েছে কংগ্রেসের কাউন্সিলরকে।