বিদ্রোহ ঘোষণা করে দল ছাড়ার পর দলে ফিরেছেন রাতারাতি। তবে ফেরত পাননি পদ। বছরের প্রথম দিন থেকে ফের পুরনো দলের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণের পরীক্ষা শুরু করলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুক্রবার আসানসোলের লাউদোহায় দলের প্রতিষ্ঠাদিবসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনুন্নয়নের জন্য দুষলেন কেন্দ্রকে।
এদিন লাউদোহার আমলোকা মাঠে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন অনুষ্ঠানে হাজির হন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। গত ১৭ ডিসেম্বর দল ছাড়ার পর এই প্রথম কোনও দলীয় অনুষ্ঠানে দেখা গেল তাঁকে। গতকালই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন জিতেন্দ্রবাবু। পুজো দেন এক মন্দিরে। তার পর যান মাজারে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। শুক্রবার দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন তিনি।
এদিন তৃণমূলের মঞ্চ থেকে ফের বিজেপির সমালোচনা শোনা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির মুখে। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের জন্যই আটকে রয়েছে রাজ্যের উন্নয়ন। জিতেনবাবু বলেন, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন কেন্দ্রে বিজেপির সরকার হলে বাংলা ডাবল ইঞ্জিন পাবে। তার পর ৬ বছরেও বাংলার উন্নয়ন হয়নি। উলটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের চেষ্টায় বারবার বাধা দিয়েছে কেন্দ্র।
জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার আগেই বিজেপি বদলছে বদলা ও বদল দুইই হবে। অর্থাৎ ওরা ক্ষমতায় এলে মানুষে মানুষে দাঙ্গা বাঁধাবে। মানুষকে ঘরছাড়া করবে। এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়।
রাতারাতি বিদ্রোহের পরদিনই তৃণমূলে ফিরলেও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তাঁর পদ ফেরত দেয়নি তৃণমূল। গত ১৭ ডিসেম্বর আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসক ও জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ ছাড়েন তিনি। তবে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি তিনি।