আদালতের অনুমতিতে কেশপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সমাবেশে ভাঙন ধরল তৃণমূলে। মঙ্গলবার এই সভায় বিজেপিতে যোগদান করলেন স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল যুব সভাপতি রবি মুর্মু। ধামসা মাদলের তালে এদিন বিজেপির সভা ভরিয়ে তোলেন মূলবাসী মানুষরা। দলবদল করেই তৃণমূলের উদ্দেশে ক্ষোভ উগরে দেন রবি মুর্মু।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে এই প্রথম কেশপুরে সভা করল বিজেপি। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রথম সভাতেই ভাঙন ধরল তৃণমূলে। এদিনের সভায় সুকান্ত মজুমদারের সামনে দলবদল করেন কেশপুরের ১৪ নম্বর অঞ্চল যুব সভাপতি রবি মুর্মু বলেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করেন ৩০ জন অনুগামী।
দলবদলের পর রবিবাবু বলেন, তৃণমূলে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের কোনও সম্মান নেই। আমরা যারা লোক জোগাড় করে সভা ভরাই তাদেরকেই পাত্তা দেয় না দল। তাছাড়া যেভাবে চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে দেখতে পাচ্ছি তাতে আমার মতো শিক্ষিত বেকার যুবকদের এই দল করা আর সম্ভব নয়। আশা করি বিজেপি রাজ্যে দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়বে। মানুষের পাশে থাকবে। আদিবাসীদের অধিকারকে মর্যাদা দেবে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সভায় বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে কেশপুরে বিজেপিকে কোনভাবেই রোখা যাবে না। পাশাপাশি তিনি পুলিশ প্রশাসনকে জানান, কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে যদি কোন ধরনের হামলার সম্মুখীন হয় তাহলে তিনি আগামিকাল আবার আসবেন কেশপুরের বুকে। ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত কেশপুরের ১৫ নম্বর অঞ্চলের বিজেপির কর্মী সুশীল ধাড়ার পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন সুকান্তবাবু।