বাঁকুড়ার পর এবার ঝাড়গ্রাম। গড়শালবনিতে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের যাত্রাপথে আছড়ে পড়ল কুড়মিদের বিক্ষোভ। এমনকী সূত্রের খবর, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বাইকে থাকা তৃণমূলের নেতা কর্মীদের নামিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর। সব মিলিয়ে একেবারে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। তার সঙ্গেই শুরু হয় চোর চোর স্লোগান।
সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যা থেকে এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেছিলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের লোকজন। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় ওই রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই বাকি গাড়িতে ভাঙচুর চালাতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের উপর শুরু হয় ইটবৃষ্টি। তৃণমূল কর্মীদের মাটিতে ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। লাঠি, বাঁশ নিয়ে তেড়ে আসেন আন্দোলনকারীরা।
মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার দাবি, এটা জাতিগত আন্দোলন নয়। আমরা এবার পালটা আন্দোলন নামব। কুড়মি সম্প্রদায়ের যত নেতা আছে তাদের এই দায় নিতে হবে? আমার গাড়িতে একটা বড় ইঁট এসে লাগে। আমার প্রশ্ন এটা নোংরামো হচ্ছে। এটা কেন হল বলতে হবে কুড়মি নেতাদেরই। তবে কুড়মি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দহিজুড়ি বাজারে রোড শো শেষ করে গড়শালবনি হয়ে চলে যায় অভিষেকের কনভয়। আর তারপরই শুরু হল ভাঙচুর। পেছনের গাড়িগুলিকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। বিরাট পুলিশ বাহিনী রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা গেল না। ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়।