রাজ্যে করোনার দাপট উত্তরোত্তর বাড়ছে। সংক্রমণ প্রতিদিন ২০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে মানুষের সচেতনতার ওপরেই জোর দিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু, তা কাজে দিচ্ছে কোথায়! দেদার বিধি ওড়ানোর ছবি সর্বত্রই চোখে পড়েছে। যার ফলে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতেও গত কয়েকদিনে ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণে লাগাম টানতে সেখানে আংশিক লক ডাউন ঘোষণা করল স্থানীয় প্রশাসন।
সপ্তাহে চারদিন সেখানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র সোম, বুধ এবং শুক্রবার এলাকার হাট বাজার খোলা থাকবে। বাকি চারদিন জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। ভগবানপুর বাজার এলাকায় করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের কপালে। করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে ভগবানপুরের বাজারকে আগেই কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু, তারপরেও সংক্রমণে লাগাম টানতে না পারায় শেষে লকডাউনের পথেই হাঁটল স্থানীয় প্রশাসন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সেখানে এরকম ভাবেই লকডাউন চলবে বলে জানানো হয়েছে।
এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে লকডাউনের কথা প্রচার চালিয়ে বেরিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সেইসঙ্গে, বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে মানুষকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক না পরলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে পুলিশ। তবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য বিগত দিনগুলিতে দীর্ঘ লকডাউনের ফলে তাদের ব্যবসায় এমনিতেই প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ফলে এভাবে সপ্তাহে চারদিন বাজার বন্ধ রাখলে তারা আর্থিক সংকটের মুখে পড়বেন। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে এ বিষয়ে পরবর্তী আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।